নেতৃত্ব প্রদানে যে সকল বৈশিষ্ট্য থাকা একান্ত জরুরি

সম্মানিত আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে অনেক ভাল আছেন। বর্তমান সময়ে নেতৃত্ব একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকেই নেতৃত্ব দেওয়ার সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে চান কিন্তু বিভিন্ন কারণবশত তারা থাকতে পারেন না। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো যে কিভাবে সঠিকভাবে নেতৃত্ব প্রদান করতে হয় এবং পারদর্শী নেতা হয়ে ওঠা যায়।

(Concepts of Leadership)

নেতৃত্ব একটি কলা বা কৌশল, যা কর্মীকে কাজে উৎসাহিত করে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করে। যে-কোনো প্রতিষ্ঠানের সফলতা কিংবা ব্যর্থতা বহুলাংশে নির্ভর করে উক্ত প্রতিষ্ঠানে বিরাজমান নেতৃত্বের ওপর। সঠিক নেতৃত্ব যেমন অনুসারীদের উদ্বুদ্ধ করে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জন ত্বরান্বিত করে, বিপরীতভাবে ভুল নেতৃত্বের ফলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যচুত হয়ে পড়ে। একজন আদর্শ নেতাই পারেন কর্মীদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যেতে, যা অন্য কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

নেতৃত্বের সংজ্ঞা (Definition of leadership) :

আভিধানিক অর্থে, নেতৃত্ব বলতে কর্মীদের পথ দেখানো, আদেশদান, নির্দেশনাদান, প্ররোচিত করা, প্রভাবিত করা, পরিচালিত করা বা লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যাওয়া প্রভৃতিকে বুঝায় । প্রকৃত অর্থে, নেতৃত্ব হলো কোনো দল বা গোষ্ঠীর আচরণকে লক্ষ্যপানে এগিয়ে নেয়ার কৌশল। অর্থাৎ নেতা যে কৌশল অবলম্বন করে কর্মীদের পরিচালনা করেন নেতার ব্যবহৃত সেই কৌশলকে নেতৃত্ব বলে।যিনি নেতৃত্ব দেন, তাকে নেতা বলা হয়।সুতরাং বলা যায় যে, নেতৃত্ব হচ্ছে এমন একটি কৌশল, যা অনুসারীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করতে উৎসাহিত করে।

নেতৃত্বের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা (Importance & necessity of leadership) :

সুষ্ঠুভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার মাধ্যমে সাফল্য অর্জনের শক্তিশালী হাতিয়ার বা উপাদান হচ্ছে নেতৃত্ব। প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের নেতৃত্ব ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কেননা সঠিক নেতৃত্বই কেবল পারে প্রতিষ্ঠানকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যার্জনে পরিচালিত করতে। নেতৃত্বের গুরুত্ব নিম্নে বর্ণনা করা হলো-

১। উপায়-উপকরণের সর্বোচ্চ ব্যবহার (Maximum use of resources) :

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নির্ভর করে উক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত উপায়-উপকরণের কাম্য ব্যবহারের ওপর। নেতা তার যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে এসব উপায়-

উপকরণ ব্যবহারে সঠিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। এতে উপায়-উপকরণের কাম্য বা সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হয়। তখন উৎপাদন ব্যয় হয় ন্যূনতম এবং মুনাফা হয় সর্বাধিক।

২। ঐক্য গড়ে তোলা (Building-up unity) :

প্রতিষ্ঠানের যোগ্য নেতৃত্বকে ঘিরে অধস্তনগণ সবসময় আবর্তিত হয়। ফলে তাদের মধ্যে শক্তিশালী ঐক্য গড়ে ওঠে। তারই সূত্র ধরে তারা দলীয় প্রচেষ্টায় অবতীর্ণ হয় এবং লক্ষ্যার্জন ত্বরান্বিত হয়। তা ছাড়া যোগ্য নেতৃত্বের অধীনে কাজ করতে গিয়ে অধস্তনগণও যোগ্য, দক্ষ ও অভিজ্ঞ হয়ে ওঠেন। ফলে তাদের আত্মবিশ্বাস ও মনোবল বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি তারা নেতার কাছ থেকে যথাযথ উৎসাহ ও উদ্দীপনা পান। ফলে তাদের

কর্মতৎপরতাও বৃদ্ধি পায়।

৩। শ্রম-ব্যবস্থাপনা সম্পর্কের উন্নয়ন (Development of labour-management relationship) ঃ

একজন আদর্শ নেতা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক সম্পর্কের পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক বজায় রেখে কর্মীদের অভাব-অভিযোগ, সমস্যা, সুখ-
দুঃখ ইত্যাদি গুরুত্ব দিয়ে আন্তরিকতার সাথে অনুধাবন করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ফলে শ্রম-ব্যবস্থাপনা সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

৪। প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন (Achieving organizational goal) :

কার্যকর নেতৃত্ব প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ নেতৃত্ব এমন একপ্রকার কৌশল, যা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কার্যসম্পাদনে উৎসাহিত করে। তা ছাড়া কার্যকর নেতৃত্বই প্রতিষ্ঠানে উত্তম শ্রম-ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করে। ফলে কর্মীরা আন্তরিকতার সাথে কার্যসম্পাদনে উৎসাহিত হয়। এতে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়।

৫।  শৃঙ্খলা  প্রতিষ্ঠা (Establishing order) ঃ

একজন যোগ্য নেতা তার কর্মীদের প্রকৃতি, যোগ্যতা-অযোগ্যতা,চাওয়া-পাওয়া সম্পর্কে অবগত থাকেন। ফলে কাকে, কীভাবে, কোন দায়িত্ব কতটুকু দিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে তা বুঝতে পারেন। তাই তিনি দায়িত্ব ও কর্তৃত্বের যথাযথ বণ্টন নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।

নেতার গুণাবলি (Qualities of a leader) :

প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জনে নেতৃত্ব একটি কার্যকরী কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আর নেতৃত্বের সাফল্য নির্ভর করে নেতার কতিপয় গুণের ওপর। একজন নেতার মধ্যে যতবেশি গুণ থাকবে নেতৃত্বের বিকাশে তিনি তত বেশি সফল হবেন। কেননা নেতার গুণাবলি অনুসারীদের আচরণ বা মনোভাবকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। একজন নেতা জন্মগতভাবে কিছু গুণের অধিকারী হতে পারেন,আবার শিক্ষালাভ বা চর্চার মাধ্যমেও কিছু গুণ আয়ত্ত করতে পারেন। যেভাবেই হোক নেতাকে শারীরিক, মানসিক, পেশাগত,
সামাজিক ইত্যাদি বিভিন্ন গুণের অধিকারী হতে হয়। নিম্নে একজন আদর্শ নেতার গুণাবলি তুলে ধরা হলো :

১। পরিশ্রমী (Dilligent) :

সাফল্য লাভের জন্য একজন নেতাকে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়। এজন্য তার শারীরিক শক্তি ও সুস্থতা বা দৈহিক সামর্থ্য থাকা আবশ্যক। তা ছাড়া নেতার শারীরিক গঠন, চেহারা, উচ্চতা, চাহনি প্রভৃতি হবে আকর্ষণীয়। কথাবার্তা ও চালচলনে নেতার মধ্যে দৃঢ় ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটবে। তাহলেই অনুসারীরা তাকে গ্রহণ করবে এবং তার নির্দেশনা মেনে চলবে।

২। বুদ্ধিমত্তা (Intelligence) ঃ

নেতাকে বেশ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হতে হয়। কেননা তাকে নানা ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করতে হয়। এজন্য তাকে বেশ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হতে হয়। ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য নেতার অনেক বেশি দূরদর্শী হওয়া প্রয়োজন। দৃঢ় আত্মবিশ্বাস নেতার কাজে বাড়তি শক্তি যোগায়। মানসিক দৃঢ়তা নেতাকে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবিলায় সহায়তা করে থাকে।

৩। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা (Institutional education) :

একজন আদর্শ নেতার ন্যূনতম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকতে হবে।নেতা শিক্ষিত হলে এটি তার বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। শিক্ষিত নেতা তার দলের সদস্যদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারে। তা ছাড়া শিক্ষিত নেতা অনুসারীদের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে। নেতার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তিসহ কারিগরি বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এতে নেতৃত্বের বিকাশ সহজ হয় ।

৪। সাংগঠনিক জ্ঞান (Organizational knowledge) :

একজন নেতা একই সাথে একজন সংগঠক। তাই সাংগঠনিক বিষয়ে তার পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা আবশ্যক। সাংগঠনিক জ্ঞান বলতে উৎপাদনের উপকরণসমূহ একত্রীকরণ, কর্মীদের দায়িত্ব-কর্তব্য নির্ধারণ ও বণ্টন, বিভাগীয়করণ প্রভৃতিকে বুঝায় ।

৫। সময় সচেতনতা (Time consciousness):

নেতাকে সময়ের প্রতি অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়। নেতার সময়ের প্রতি সচেতনতা অনুসারীদেরকেও সময়নিষ্ঠ হতে উদ্বুদ্ধ করে। কথায় আছে, সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়।তাই নেতাকে সঠিক সময় সঠিক কাজটি করতে হবে।

৬। অভিজ্ঞতা (Experience) :

অভিজ্ঞতা নেতার একটি বড় গুণ। তিনি অভিজ্ঞ হলে তার পক্ষে অতীতের ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর জন্য সঠিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন সহজ হয়। তা ছাড়া অভিজ্ঞতা নেতার কার্যদক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৭। সহযোগিতামূলক মনোভাব (Co-operative attitude) :

নেতার মধ্যে সহযোগিতামূলক মনোভাব থাকতে হয়।
অনুসারীরা যখনই কোনো সমস্যায় পড়বেন কিংবা নেতার কাছে কোনো সাহায্য চাইবেন নেতাকে তাৎক্ষণিকভাবে উক্ত অনুসারীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে। নেতার সহযোগিতা নিয়েই অনুসারীরা বা অধীনস্থরা প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যার্জন ত্বরান্বিত করে।

৮।বন্ধুসুলভ মনোভাব (Friendly attitude) :

অনুসারীদের কাছে নেতা হবেন বন্ধুর মতো। বন্ধুত্বসুলভ মনোভাবসম্পন্ন
নেতাই কর্মীদের নিকট অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে থাকে। তাই নেতা কেবল নির্দেশদাতাই হবেন না, তার কথাবার্তা, আচার-আচরণ হবে বন্ধুত্বপূর্ণ, তবেই অনুসারীরা তাকে সহজে গ্রহণ করবে ও আপন মনে করতে পারবে।




৯। দূরদৃষ্টি (Foresightness) ঃ

একজন ‘নেতাকে অবশ্যই দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হয়। দূরদৃষ্টি বলতে অতীত ও বর্তমানের আলোকে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনুমান করার দক্ষতাকে বুঝায়। নেতা যদি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন না হয় তবে তার পক্ষে কর্মীদের পরিচালনা করে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয় না।

১০। যোগাযোগ পারদর্শী (Expert in communication) :

নেতাকে যোগাযোগে পারদর্শী হতে হয়। কেননা তাকে প্রতিষ্ঠানের ভিতর ও বাইরের বিভিন্ন পক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়। তাই যোগাযোগের আধুনিক কলাকৌশল ও উপায় সম্পর্কে নেতার ধারণা থাকা এবং উক্ত ধারণার বাস্তব প্রয়োগ ঘটানোর যোগ্যতা থাকা অপরিহার্য। সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষায় প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

১১। অনুসারী সম্পর্ক জ্ঞান (Knowledge about followers) :

নেতার অনুসারীদের সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। নেতা যেহেতু অধীনস্থদেরকে পরিচালনা করে থাকেন, তাই অধীনস্থদের শক্তিসামর্থ্য, আচার-আচরণ, আনুগত্যের মাত্রা, মন-মানসিকতা, চাওয়া-পাওয়া, সুখ-দুঃখ, আবেগ-অনুভূতি, আশা-আকাঙ্ক্ষা, ভালোলাগা-মন্দলাগা প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা থাকা বাঞ্ছনীয়। তাহলেই তার পক্ষে কর্মীদের সঠিক নির্দেশনা, পরামর্শ ও প্রেষণাদানের মাধ্যমে যথাযথভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

১২। সততা ও ন্যায়নিষ্ঠা (Honesty and justice) :

কথাবার্তা ও কাজকর্মে নেতা হবেন সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ। কোনোপ্রকার প্রতারণা, ছলনা, কিংবা মিথ্যা বর্ণনার আশ্রয় নেতা গ্রহণ করবেন না। বলা হয় থাকে, নেতা সৎ হলে অনুসারীরাও বাধ্যতামূলকভাবেই সৎ হয়ে থাকে। প্রবাদ আছে, Honesty is the best policy. নেতা কারো প্রতি কোনোপ্রকার পক্ষপাতমূলক আচরণ করবেন না। তিনি সবাইকে সমান দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সকলের প্রতি সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবেন।

১৩। উৎসাহদানের ক্ষমতা (Power of encouraging) :

নেতার মধ্যে অনুসারীদের উৎসাহদানের ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে যেন অনুসারীরা মনোবল হারিয়ে না ফেলে সে জন্য নেতা প্রতিনিয়তই কর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা যোগাবেন। নেতার উৎসাহে কর্মীরা উদ্দীপ্ত হয়ে সুষ্ঠু কার্যসম্পাদনের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জন ত্বরান্বিত করে।

১৪। বিশ্লেষণ ক্ষমতা (Analytical power) ঃ

নেতার বিশ্লেষণ ক্ষমতা থাকা দরকার। একজন নেতাকে পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে নেতৃত্ব দিতে হয়। এজন্য তিনি নিজ প্রতিষ্ঠানের পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি বাহ্যিক পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান যেমন- বিশ্বায়ন ও এর প্রভাব, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও সহায়তাদানকারী প্রতিষ্ঠান, প্রতিযোগী, গ্রাহক প্রভৃতি সম্পর্কে অনুধাবন ও বিচারবিশ্লেষণ করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবেন।

১৫। নেতৃত্ব গ্রহণের মানসিকতা (Mentality of undertaking leadership) :

একজন নেতার অত্যাবশ্যকীয় যোগ্যতা হলো নেতৃত্ব গ্রহণের মানসিকতা। অর্থাৎ নেতৃত্ব দেয়া বা দায়দায়িত্ব গ্রহণের মানসিকতা থাকা বাঞ্ছনীয়। তার মধ্যে যদি দায়িত্ব এড়ানোর মানসিকতা কাজ করে তবে তিনি কখনই আদর্শ নেতা হতে পারবেন না।

পরিশেষে বলা যায়, উল্লিখিত গুণাবলি একজন আদর্শ নেতার মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয়। এগুলো ছাড়াও আরো কিছু গুণ একজন নেতার মধ্যে থাকতে পারে, যেমন- ঝুঁকি গ্রহণের সাহস, ধৈর্য, ন্যায়পরায়ণতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ক্ষমতা
ইত্যাদি। তবে সবসময় একজন নেতার মধ্যে সবগুলো গুণ সমভাবে বিরাজমান নাও থাকতে পারে। বস্তুত যে নেতার মধ্যে যত বেশি গুণ থাকবে কার্যক্ষেত্রে তিনি তত সফল হবেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এমন আরো সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

You may also like...

1 Response

  1. tricks says:

    সুন্দর হয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *